Our Feeds

Thursday, September 28, 2017

Writer

গল্পঃ অতপর নিসঙ্গ

কাহিনীঃ-   অতঃপর নিসঙ্গঃ
অাজ সন্ধ্যার সময় মসজিদে কিসের জন্য যেন অামাদের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল,  তথা সুপারিন্টেনডেন্ট ডেকেছিলেন, হয়তো কোন হোস্টেল সংঙ্কান্ত নতুন নোটিশ জারি করবে। অামি Rakibul Alom বাবা মায়ের অাদরের সন্তান। ছোট বেলা থেকেই নরম - ভদ্র এবং মাঝেমাঝে দুষ্টের হাড্ডিও ছিলাম। সব প্রকারের দুষ্টমি যদি কারো কাছে থেকে থাকে সেই ব্যক্তিটিই হলাম অামি। :-D
অাম্মু অামায় প্রাই বলে "শয়তানের নাগর অামি" :-D
অামার অাম্মুর এবং অাব্বুর তাদের বিয়ের পরে তাদের বক্তব্য ছিল যে, যদি তাদের কোন ছেলে সন্তান হয়, তাহলে তাকে নাকি মাদ্রাসায় পড়াবেন। অামি জন্ম হওয়ার পর সেটাই তারা করে ছিলেন। প্রথমে দুই একবছর (কে.জি) - তে পাড়ানোর পরে মাদ্রাসায় দিয়ে দিলো। সেখান থেকেই অামার মাদ্রাসাভিত্তিক পড়ালেখা। :-)
অামি ক্লাশ ১ম থেকে ক্লাশ ১০ম পর্যন্ত মঠবাড়িয়া মোমেনিয়া দাঃ মাদ্রাসায় পড়েছিলাম। বাড়ির পাশেই মাদ্রাসা ছিল সেখানেই অামায় ভর্তি করে দেয়া হয়েছিল। অামি যখন ক্লাশ ৯ম পেরিয়ে ১০ম-এ উঠি ঠিক তখন অার্থিক অসচ্ছলতার কারনে অামার অাব্বু রাঙ্গামাটি ব্যাবসার কাছে চলে যান।
অামার তখন খুবই ভাল লেগেছিল কারন, একমাত্র অামার অাব্বুই অামাকে খুব শাসন করতো যেটা অামার কাছে ভাল লাগতোনা। অামার অাম্মু খুবই ভাল অামি  যত দুষ্টুমি করি না কেন সে সবসমই অামার সাপোর্টই করে যেতো। :-)
অামি রীতিমত ক্লাশ করতাম অার ছাত্র হিসেবেও তেমন খারাব ছিলাম না। তবে অামি পড়ার টেবিলে বসে বেশি সময় পরতাম না, সবসমই তখন দুষ্টমি করতাম।
অামি অাম্মুর ফোনটা Use করতে শুরু করলাম :-P মাঝেমধ্যে ক্লাশেও নিয়ে যেতাম। [বন্ধুর সাহায়তা নিয়ে একটি ফেসবুক অাইডি খুলেছিলাম,  যদিও সেই মোবাইলটা দিয়ে তেমন ফেসবুকের কিছুই বোঝা যেত না, তাই তেমন ব্যাবহার করা হয়নি শুধুই অাইডি খুলে রেখেছিলাম।] অাম্মুর ফোন চালাই বলে, অাম্মু অামায় কিছুই বলতো না। কিন্তু অাব্বু মাঝে-মধ্যে ফোন দিয়ে অামায় বকতো। অামি কেন  মোবাইলটা অামার কাছে রাখি? ক্লাশে কেন ফোন নিয়ে যাই? ইত্যাদি। :-(
পর্যায়ক্রমে অামি এস.এস.সি (দাখিল) পাশ করেছি।
তার কিছুদিন পর অামার অাব্বু রাঙ্গামাটি থেকে এসে অামাদের কে চট্টগ্রামে নিয়ে গেল। এবং তিনি সেখানেই চাকরি করে। এবং অামাকে চট্টগ্রাম কোন এক মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেন।
তার সাথে একটি মোবাইল দিতে চাইলেন, অামি বললাম, মোবাইল নিতে হলে নকিয়া ফোন নিব। Otherwise,  নিবো না। অাম্মুকেও বললাম, অাম্মু..  অাম্মু.. প্লিজ! অামাকে একটি নোকিয়া ফোন কিনে দিতে বলেনা, অামি ভবিষ্যতে অার কখনো কোন ফোন চাইবো না। [নোকিয়া ফোনে অপেরা মিনি সাপোর্ট করে  অপেরা মিনি,  ফেসবুক অ্যাপ, অাছে তার মানে ভাল করেই ফেসবুক চালানে যাবে বিধায় এরকম বাহানা করতেছি :-P ]
তো অামায় নোকিয়া C1-01 ফোন কিনে দেয়া হলো। এবং অামি মাদ্রাসার চলে গেলাম,
H.S.C (অালিম) - এ নতুন ক্লাশ শুরু করলাম। মাদ্রাসা থেকে বাসা অনেক দূরে এজন্যই মাদ্রাসার হোস্টেলে উঠে গেলাম।
অামি ক্লাশ শেষে (অফ টাইমে) প্রায়ই ফেসবুকে থাকতাম,  অার ফেসবুকের যতসব খুঁটি-নাটি বিষয় অাছে সকল অাস্তে অাস্তে সকল কিছুই শিখে নিতে লাগলাম।
হুম, ইতোমধ্যে খুব ভাল একজন ফেসবুকএক্সপার্টও হয়ে উঠলাম। :-P ইন্টার ১ম বর্ষ (অালিম ফাষ্ট ইয়ার) শেষ করে ফেললাম। অামি এখন ২য় বর্ষে উঠেছি মাত্র, এখন এই মোবাইল দিয়ে অার কিছুই হয়না, অবশ্যই র্স্মাট ফোন দরকার,,
অাব্বুকে বিষয়টা জানালাম  অাব্বু একটা Android ফোন কিনে দিলো অামি তো পুরাই খুশি এখন ভালো করে ইন্টারনেট / ফেসবুক চালানো যাবে। সবার মত অামার কাছেও র্স্মটফোন অাছে। :-)
 পড়াশোনার মাঝে মাঝে ফেসবুক চালানোর মজাই অালাদা। <3
তো, যেখানে ছিলামঃ (কল্পনার পরের অংশ) অাজ সন্ধ্যার সময় মসজিদে কিসের জন্য যেন অামাদের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল,  তথা সুপারিন্টেনডেন্ট ডেকেছিলেন, হয়তো হোস্টেল সংঙ্কান্ত নতুন কোন নোটিশ জারি করবে।
সবার সঙ্গে গেলাম। সেখানে প্রিন্সিপাল বক্তাব্য দিতে লাগলো অার অামরা সবাই শুনতে লাগলাম, এবং অামি ফেসবুক চালাইতে লাগলাম,,,,
হঠাৎ ফেসবুকে দেখলাম যে,
      People you may know
                    Sw Eet        →(সুই  টি)
      Mathbaria, K.m Latif School
       Add Friend    Remove

<সুই টি> নামের কেউ একজন হয়তো নতুন ফেসবুক অাইডি খুলছে About -এ গিয়ে দেখি,, (মঠবাড়িয়া, কে.এম.লতিফ স্কুলে দেয়া।) তার মানে অামাদের বাড়ির এলাকার অাশে পাশে তার বাড়ি, অারে অামি তো এই কে.এম.লতিফ স্কুলটাকেই চিনি অামাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরেও নয়। সেখানে অামরা সবাই অাড্ডা দিতাম অাগে।  অামার কিছু ফ্রেন্ডও সেখানে পড়ে। সবকিছুই ভেবে একটি ফ্রেন্ড রিকুয়েশ্ট পাঠিয়ে দিলম। হয়তো অামি তাকে চিনতেও পারি,,,,,,।। :-) :-)
প্রতিবারের মতো, অাজকের রাতেরও ডিনার শেষ করার পর ফেসবুকে টুকেই দেখি.......!

<Sw Eet accepted your friend request. Write on Sw Eet's timeline.>  :-) :-)
এবং সে বর্তমানে চ্যাটিং -এ এক্টিব অাছে,,
অামিঃ - Hello! (হ্যাঁলো)
           - Excuse me! →(এক্সকিউজ মি)
Sw Eet: - Hlw.... →(হ্যালো)
অামিঃ Who are you.? (অাপনি কে.?)
সুই টিঃ I'm am fine! & you? (অামি ভাল অার অাপনি?)
অামিঃ বলছিলাম অাপনি কে.?
সুই টিঃ অামি সুইটি।
অামিঃ অাচ্ছা,  অাপনি কি মঠবাড়িয়া কে.এম.লতিফ স্কুলে পড়েন.??
সুই টিঃ হুম, অাপনি জানেন কি করে.?
অামিঃ না অাপনার About এ দেখলাম অারকি।
সুই টিঃ ওওওও.....।
অামিঃ অাপনি কিসে পড়েন.?
সুই টিঃ ক্লাশ টেন, অাপনি.?
অামিঃ অামি H.S.C / Alim (2nd year.)
অামিঃ ওগো..অচেনা ললনা, তোমার অাসল নামটা অামায় একটু বলোনা,,,,, :-P
সুই টিঃ হুম অাসল নাম জানার ধান্ধা??
অামিঃ হুম,,,, :-)
সুই টিঃ অাসল নাম.. (মুনা)
অামিঃ এরকম নাম মুখে নিলে হবে যে অামার গুনা,,,,, :-P
সুই টিঃ কেন?
অামিঃ এমনি ছন্দঃ হিসেবে বললাম অারকি।। অার এই নামে অামার অ্যালার্জিও অাছে। :-P (ফান করে বলছি)
সুই টিঃ অাপনি অনেক সুন্দর করে কথা বলেন।
অামিঃ কিরকম সুন্দর.??
সুই টিঃ না, মানে অনেক ভাল অারকি।
অামিঃ অহ্
সুই টিঃ ওকে এখন Bye।। (পরে কথা হবে)
অামিঃ As your wish.(অাপনার যা ইচ্ছা)
এরকম অামাদের প্রাই চ্যাটিং হতো,,,
অামি, ওকে খুব হাসাতাম। অামরা গল্প করতাম,  মজা করাতাম। এরকম অামাদের দিন কেটে যাচ্ছিলো,,,
খোয়েছি কিনা? কি করি? কি বই পড়ি?
ইত্যাদি,,,,,,ইত্যাদি,,,,,,ইত্যাদি,,,,,,ইত্যাদি!! সারাদিন ম্যাসেজ করতাম।
একসময়ে অামরা খু্ব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। প্রতিদিন অামরা চ্যাটিং করতাম।
তার কয়জন বন্ধু অাছে, কয়জন বেষ্ট ফ্রেন্ড অাছে, পছন্দের রং কি? কি করতে ভালবাসে ইত্যাদি,,,,,,ইত্যাদি!!
এরকম সারাদিন-রাত চ্যাটিং করতে করতে..[অনুমানিক একটানা ১৭-১৮ দিন পরে]
অতঃপর  অামারা খুব ভাল বেষ্ট ফ্রেন্ড হয়ে গেলম।
অামিঃ অাচ্ছা, সত্য কথা বলতে কি... অামার জীবনে কখনো কোন মেয়ে বেষ্ট ফ্রেন্ড হয়নি, অামার জীবনে তুমিই অামার প্রথম মেয়ে বেষ্ট ফ্রেন্ড, অামার সাথে যা কিছুই হয় তোমার কাছে শেয়ার করি, মনের কথা বলি,  অাড্ডা দেই।  তাই বলছিলম তুমি যদি অামার জীবন থেকে কখনো হারিয়ে যাও? তাহলে তোমায় খুঁজে পাব কিভাবে.? তোমার ফোন নাম্বর টা কি অামার দেয়া যায়না.?
সুই টিঃ সত্যি কারের বন্ধুত্ব কখনো হারায় না।
মনে যদি পূর্ণ বন্ধুত্বের বিশ্বাস থাকে তাহলে ফোন নাম্বার না থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায়।
অামি মনে মনে বললামঃ (নাম্বর না দিতে চাইলে তোমাকে কখনোই জোর করবো না। তোমার কাছে অামি অার কখনোই নাম্বার চাইব না। মাইন্ড ইট 😡)
অামরা দিন-রাত সবসমই ফেসবুকে কথা বলতাম।
এরকম অামাদের চ্যাটিং হতো,,
"কিছুদিন পরে,,,  অামি ফেসবুকে ডুকে দেখি ও চ্যাট লিষ্টে নেই।
অথচ ম্যাসেজ (Seen 10.00Pm) সিন করা।"
অামি চিন্তায় পড়ে গেলাম সিন করা অথচ অামার ম্যাসেজ এর উত্তর না দিয়ে পারলো.?? :'( :'(
মনটা খারাব হতে লাগলো,,
অামিঃ অামার উত্তর না দিয়ে থাকতে পারলে.? :-( :-(
তার কিছুক্ষণ পরে সে ম্যাসেজ দিল অামি ম্যাসেজ সিন করিনি অামার চাচাত ভাই (রহিম রাজু) সে অামার ফেসবুক অাইডি খুলে দিয়েছিল, সে অামার পাসওয়ার্ড জানে হয়তো সে সিন করছিল,
-অাচ্ছা,অামার  ফেসবুকের পাসওয়ার্ড টা কি চেন্জ করে দিতে পারো.?
অামি বললাম- পারব না কেন.?
তোমার অাইডি অার পাসওয়ার্ড দেও অামি চেন্জ করে দিচ্ছ,,,
সে দিল একটা নাম্বার (017842854★★) এবং তার পাসওয়ার্ডঃ 842854 দিয়ে চেন্স করে দিতে বলল,
অামি তার আইডিতে ডুকে তার পাসওয়ার্ড টা চেন্জ করে দিলাম।
নতুন পাসওয়ার্ডঃ (58531498) দিয়ে দিলাম।
[তাকে বলে দিলাম অাজ থেকে তোমার নতুন পাসওয়ার্ডঃ (58531498) এটা,]
সুই টিঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
অার অামি বললাম, তুমি যে (ইমেইল বা, ফোন নাম্বার এর জাগায় যে ফোন নাম্বারটা দিয়েছো) যে, ফোন নাম্বারটা দিয়েছো সেই নাম্বর  টা অাসলে কার.??
সুই টি বললঃ ওটা অামার চাচাত ভাইয়ের (রহিম রাজু -এর) ফোন নাম্বার। এবং তারই দেয়া একটি পাসওয়ার্ড।
অামিঃ যেহেতু ফোন নাম্বার টা তোমার চাচাত ভাইয়ের সেহেতু সে যে কোন সময় তোমার পাসওয়ার্ড চেন্জ করে দিতে পারে।
তখন তুমিও তোমার অাইডিতে অার ডুকতে পারবেনা।
[ মুলতঃ অাপনার ফেসবুকে যার ফোন নাম্বর দেয়া থাকবে সেই অাপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্ত করার ক্ষমতা রাখে অন্য কেউ পারেনা]
¶সুই টি _এর চাচাত ভাই যেহেতু তার পাসওয়ার্ড অাগে থেকেই জানতো সেহেতু সে সবসমই ম্যাসেজ চেক করে দেখতো কার কার সাথে সুই টি ম্যাসেজ করে।
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার পর থেকে সে অার চেক করে দেখতে পারেনা। এতে অামি অার সুইটি বেশী খুশি হয়ে ছিলাম।¶

সুই টিঃ  রহিম রাজু যদি অামার অাইডির পাসওয়ার্ড চেন্স করে দেয় তাহলে কি করবো? :'(
অামিঃ অামি তোমাকে এখনই একটা অাইডি খুলে দিব। ওর দেয়া ফেসবুক অাইডি তুমি অার Use করবেনা।
সুই টিঃ কাল সকালে দিও। এখন রাত ১১.৫৯ বাজে।  ঘুমাও,,,,
অামিঃ অাচ্ছা ঠিক অাছে।
মুনাঃ রাত অনেক হয়েছে এখন প্লিজ! ঘুমিয়ে পড়। Good Night!!
অামিও ওকে Good Night বলে দিলাম।
রাত যখন ১২.৩০ বাজে, অামি তখন অামি অামার সেটের ডিফল্ট ব্রাউজার দিয়ে গুগলে কি যেন সার্চ করছিলাম, হঠাৎ গুগলে ফেসবুকের কোন একটি সমাধানের ফলাফল বের করে দিল।
অামি হঠাৎ দেখলাম, '''''অারে ""সুই টির" ফেসবুক অাইডির পাসওয়ার্ড চেন্জ করেছিলাম অার লগঅাউট করা হয়নি, তার মানে অামি এখন ওর অাইডিতে.?
হুম, তাইতো,,,, অাচ্ছা দেখিতো ও কার কার সাথে চ্যাটিং করছে,wow great idea!
চ্যাটিং দেখি অনেক ছেলেদের সাথে চ্যাটিং করছে,,,, :-/ প্রথমে চ্যাটিং লিষ্টে রহিম রাজু তার পরে অামি। :-/
(অন্য ছেলেদের সাথে ম্যাসেজ করছে এটা দেখে অামার মনটা কেন জানি খুব খারাব হয়ে গেল। :-/ )
রহিম রাজুর সাথে অনেক ম্যাসেজ....
রহিম রাজুঃ একটু অাসবে??
সুইটিঃ না, অামি অামার স্বামিকে অনেক ভালবাসি।। এরকম অনেক চ্যাটিং,,,,
অামি মনে মনে ভাবলাম  স্বামিকে ভালবাসে মানে?
-ওর তো বিয়েই হয়নি তাহলে স্বামিকে ভালবাসে মানে কি? অামার মন বলে উঠল!! এটাও তো হতে পারে মনে হয় তার ভবিষ্যতের স্বামিকে ইঙ্গিত করে বলছে! বাহ্ মেয়েটা হয়তোবা তার ভবিষ্যৎ স্বামিকে অনেক ভালবাসে।
অার সুইটি অামায় বলেছিল, রহিম রাজু একটু লুচ্চা টাইপের। তাই হয়তোবা ওর সাথে অাজেবাজে ম্যাসেজ করে ওকে হয়তে পাত্তা না দেওয়ার জন্য।
বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হওয়ার জন্য সুইটিকে অারএকটি ম্যাসেজ দিয়ে রাখি,,

অামিঃ তোমায় ফোন নাম্বার টা দাও তো Emergency কথা অাছে। (Sent 12.59)
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে ডুকেই দেখি,,, 
সুই টিঃ 017889763★★ (একটা ফোন নাম্বার দেয়া)
সুধু এতটুকুই অার কোন কিছুই লিখেনি। :-/
অামিঃ এটা কার নাম্বার? অামি কি কল দিব.?
--- নো রিপলে,,
যাইহোক,  কল দিলাম,  কিন্তু ফোন বন্ধ।
(৩০-৪০ বার ফোন দিছি) কিন্তু,,,,,
বন্ধ! বন্ধ!  বন্ধ! বন্ধ! বন্ধ! বন্ধ!  :'( :'(
অামার খুব কষ্ট হচ্ছে,,, :'(
অামিঃ তোমার ফোন বন্ধ কেন.?
-নো রিপ্লাই,,,,
সে অার ফেসবুকে অাসেনা, কিছুক্ষণ পর,,,,,
চ্যাটিং এ গিয়ে দেখি,  Active 24hr ago :'( :'(
-
অামি যখনই ফেসবুকে ডুকি তখনি চ্যাটিং লিস্টে যাই। দেখতে সে এক্টিব অাছে কিনা? গিয়ে দেখি, Active 1day ago :'( :'(
২য় দিনঃ Active 2day ago :'( :'(
৩য় দিনঃ Active 3day ago :'( :'(
একসময় এটা অার দেখায় না।
তার মানে সে অার কখনো ফেসবুকে অাসেনা।
To be continue....  :'( :'( :'( :'( :'(
অামার কেমন জানি খুব কষ্ট হয়েছিল। :-/
কি অার করার? অামার কষ্ট নিয়ে অামি ভালই অাছি।( ২-১ দিন) কেটে গেল।
তার অারো ২/৩ দিন পরের ঘটনা,,,,
(ঈদুল ফিতর) -এর ছুটিতে বাড়িতে অাসছি।
সকাল ১০-১১টার দিকে,
অাম্মু ডাক্তারের কাছে যাবে। অার তাকে  অামার নিয়ে যেতে হবে। যেহেতু অাব্বু অফিসে, ছোট বোনটা স্কুলে, অামি ছাড়া বাসায় কেউ নেই। তাই অামাকেই অাম্মুর সাথে (ডাক্তারের কাছে) যেতে হবে।
অামি অার অাম্মু রেডী হচ্ছিলাম,,
হঠাৎ অামার ফোনটা বেজে উঠল! (একটি অচেনা নাম্বার থেকে) `লাষ্টের নাম্বার 5983` ফোন অাসলো,, অামি রিসিভ করে বললামঃ -  হ্যালো.....!
- জ্বি অাপনি কি "রাকিবুল অালম.?"(মেয়েলী কণ্ঠে)
-জ্বী,  অামি 'রাকিবুল অালম বলছি'। কে অাপনি.?
- অামি সুইটি (মুনা)
- ওহ্ তুমি?? অামার ফোন নাম্বর কোথায় পেলে.? অার এতদিন কোথায় ছিলে.? :-(
-সুইটিঃ --- জানো, অামারা শেষদিন যখন চ্যাটিং করছিলাম, তখন রহিম রাজু হয়তো অামার অাইডিতে অার ডুকতে পারেনি,(পাসওয়ার্ড চেন্জ করার কারনে)
তাই ও হয়তো সেই রাতেই অামার ফেসবুক (ওর বেরিফাই ফোন নাম্বার দিয়ে) অামার ফেসবুকের অাইডির পাসওয়ার্ড চেন্জ করে দিয়েছিল। :-)  দেওয়ার পর অামি অার অামার অাইডিতে ডুকতে পারিনি। :-( তখন অামি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম।
তখন বার বার মনে হলো, তুমি যখন অমার ফোন নাম্বার চেয়েছিলে তখন কেন যে অামার ফোন নাম্বর তোমাকে দিলাম না। ধ্যাত!!  কি যে ভুল করছি, কিছুই ভাল লাগছিলো না, তোমার জন্য খুবই কষ্ট হয়েছিল,, :'( :'(
অামিঃ অামারও এরকম কষ্ট হয়েছিল।
সুইটিঃ জানো.?
তোমাকে খুঁজার কোন উপয় না পেয়ে।
তুমি যে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়েছিলে (58531498) ওটার শুরুতে  016, এবং 018, ও 019, যোগ করে কল দিয়েছিলাম। হয়তো তোমার নাম্বারও হতে পারে। অামার মন বলছিল হয়তো তুমিই রিসিভ করবে। কিন্তু যখন কেউ রাকিবুল অালম নামে কাউকেই  চিনলোনা,  তখন অামি অাবার তোমার দেয়া পাসওয়ার্ড এর শুরুতে 017 ( + ) যোগ করে এবং তোমার দেয়া পাসওয়ার্ডঃ তথা - 58531498 যোগ করে, (টোটাললি 017+58531498) ফোন দিয়েছি। অার এইতো তুমিই ফোনটা রিসিভ করলা।।  কি কাকতালীয় ব্যাপার তাই না??
অামিঃ হুম, এটা অামারই ফোন নাম্বার। অার এর লাষ্টের ৬ডিজিট অামার ফেসবুক পাসওয়ার্ড, অার তোমার পাসওয়ার্ডও এটাই দিয়েছিলাম।
যাইহোক, কেমন অাছো.? এতদিন কোথায় ছিলে.? অামার ফোন ফোন বন্ধ ছিল কোন.?
সুইটিঃ - ফোন বন্ধ ছিল মানে?
-আমিঃ  তুমি যে ফেসবুকে একটি নাম্বার দিয়েছো ওটা কার নাম্বার.?
-সুইটিঃ অামি নাম্বার দিয়েছি মানে.? কই অামিতো কোন ফোন নাম্বার দেয়নি।
অামিঃ - তাহলে ওই ফোন নাম্বার টা কে দিলো.?
সুইটিঃ- অামি জানিনা,  হয়তো অামার চাচাত ভাই (রহিম রাজু দিয়েছে।) অার ও অামার ফেসবুক পাসওয়ার্ড চেন্জ করে ফেলছে। :-(
এরকম অামাদের অনেক্ষন কথা হলো,,, (প্রায় ১৫-২০মিনিট এর মত।)
এর মধ্যেই অাম্মু ডাক দিলো,
অামিঃ -অাচ্ছা,, এখন রাখো পরে কথা হবে। এখন একটু কাজে ব্যাস্ত অাছি।
অামি অামার অাম্মুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম,, হঠাৎ অামার ফোনে একটা টেক্সাট্ ম্যাসেজ অাসলো,  ম্যাসেজ টা ছিলোঃ (Bole Cilam na? Sotti Karer bondhutto kokhono haray na?
mone jodi purno bonduttor bisswas thake tahole phone number na thakleo khuje paoa jay.. :-)  )
[meaning by Bangla:------
বলেছিলাম না? সত্যি কারের বন্ধুত্ব কখনো হারায় না। মনে যদি পূর্ণ বন্ধুত্বের বিশ্বাস থাকে তাহলে ফোন নাম্বার না থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায়।]

অামি চমকে উঠলাম! ঠিক বলেছিলো তো।
অামিও রিপ্লাই করলামঃ হুম,  তোমার কথার যর্থাথ যুক্তি অাছে দেখছি। :-)
সুইটিঃ অামি অনুমান দিয়ে কখনো কথা বলি না।  যার জন্য কথাটির যুক্তি ছিল।
--এরকম অামারা সারাদিন টেক্সট্ ম্যাসেজ করতাম। অামি অামার গ্রামিণফোন সিমে, ৫,০০০ এস.এম.এস কিনে রখতাম সবসমই
ও অামাকে বললো অাচ্ছা,  ৩,০০০ - ৪,০০০ এসএমএস কেনা যায় এরকম কোড বলোতো[
-(S8 to 8426) ২০টাকা ৫,০০০ এস.এম.এস. BGD-GP]
ওকে সবসমই ম্যাসেজ করতাম।
সুইটিও মনে হয় এরকম করে  ম্যাসেজ কিনতো।
অামাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (১০-১২ঘণ্টা) এস.এম.এস কথা হত। ওর ফোনে কথা বলতে সমস্যা ছিল,  তাই অামরা সবসময়ই এস.এম.এস - এ কথা বলতাম।
অাবার মাঝেমাঝে,অামি ফোন করে কথা বলতাম অার ও ফোনে কথা না বলে এস.এম.এস - এর মাধ্যমে কথা বলতো।(যখন ওর অাব্বু, অাম্মু পাশে থকে তখন ও ইয়ারফোন দিয়ে অামায় এস.এম.এস করে অামার সাথে কথা বলে। )
মানে অামি কল দিয়ে কথা বলতাম,  অার ও ইয়ারফোন দিয়ে সেটা সুনে এস.এম.এস এর মাধ্যমে সেটার উত্তর দিত।
অামরা অাস্তে অাস্তে অারো ক্লোজ হতে লাগলাম।
অামার ক্লাশ পড়াশোনা,  অার সুইটিকে নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল। ☺☺

পর্ব - ২

কিছুদিন পরেই ঈদ! (ঈদুল অাযহা, তথা-  কোরবানির ঈদ।)
অাব্বু, অাম্মু বলছিল যে, তারা নাকি দেশের বাড়ি যেয়ে ঘুরে অাসবে।
তার মানে অামারা মঠবাড়িয়া যাচ্ছি। ইয়ে,, কি মজা হবে।
অামি সুইটিকে কখনো দেখিনি মঠবাড়িয়া গেলে একবার ওকে দেখে অাসব।
এগুলো ভাবতে ভাবতেই খুশিতে অামার মনটা নেচে নেচে উঠল। :-) :-)
অামি সুইটিকে ফোন দিয়ে বললাম,
তোমাকে তো কখনো অামি দেখিনি, অামি মঠবাড়িয়া এসে তোমাকে দেখব।
[অামারা ফোনে যত কথাই বলিনা কেন, কিন্তু তার ফটো অামি কখনো দেখতে চাইনি, যদিও একবার বলছিলাম,  তখন ও বলে দিলো অামি তো এখন ফেসবুক ইউজ করি না, পাঠাব কিভাবে.?
অার ওর ওই ফোন দিয়ে নাকি ছবি পাঠানো কখনো সম্ভব ছিল না। অার অামিও তাকে অার জোর করিনি।]
অামি জিজ্ঞাস করে ছিলাম,  তুমি দেখতে কেমন.?
ও বলল, একদম কালো পেত্নীর মতো।
অামি বললামঃ  কালা হও অার সাদা হওনা কেন, তুমি অামার সবচেয়ে বড় বন্ধু। এই সবচেয়ে বড় পরিচয়  কালো সাদা এইগুলো দিয়া কি করবো.?
অাসলে ভালবাসতে অার বন্ধুত্ব করতে সুন্দর চেহারার দরকার হয় না,
দরকার হয় একটা সুন্দর মনের।
তার,  কিছুদিন পরে (ঈঁদের ৩-৪ দিন অাগে) অামি অাম্মু ও অাব্বুকে বললাম অামি অাজকেই না হয় যাই.? তোমাদের একদিন অাগে অামি  গেলে কি সমস্যা.?
তোমরা না হয় অাগামী কালকে অাসো।
তারা বললো অাচ্ছা যা,
অামরা তোর অান্টিকে নিয়ে একসঙ্গে কালকে যাব।
অামি তো মহা খুশি।
সঙ্গে সঙ্গে বাসের টিকেট কাটলাম।
রাত ১০টার দিক বাসে উঠলাম।
(সারা রাত বাসের মধ্যে ওর সাথে এস.এম.এস করলাম। অামরা খুব খুশি কারণ, কাল সকালেই দুজন দুজনকে দেখবো)
অবশেষে ১০-১২ ঘণ্টার মধ্যে অামার দেশের বাড়ি, মঠবাড়িয়া এসে পৌঁছালাম।
পৌঁছানোর সাথে সাথে সুইটি কে কল দিলাম,
-হ্যালো,,,,
- হুম, তুমি কোথায় অাছো.? অামি এই মাত্র এসে পৌঁছালাম। অামরা এখন দেখা করবো। তাইনা.? :-) :-)
- এখন না, অামরা পরে দেখা করবো।
- অাগে তুমি ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করো।
-ওকে Bye!
অামি অামার ছোট অান্টির বাড়ি উঠলাম। ছোট অান্টির ছেলে "নাঈম" ( Naim Al Hasan )  এর বাসায়।
অামার ছোট অান্টির বড় ছেলে নাঈম।
নাঈম অার অামি খুবই ক্লোজ! অামরা ছোট বেলার বন্ধু, ও এখন (ইন্টারে) মাদ্রাসা থেকে অালিম -এ পড়ে।
অামি Naim Al Hasan কে অামাদের পরিচয় হওয়ার কথাটা জানালাম।
অনেক দিন পরে অামরা,
অামি, Naim Al Hasan , এবং  Mostafa Kamal , ও Salam Khan এক হলাম।
অামার কথাটা, সবাইকে শেয়ার করায়, Salam Khan বলল,,,
যে মেয়েদের ফোনে কণ্ঠ সুন্দর বাস্তবে সে কালো হয়।
অামি বললাম তাতে অামার কোন সমস্যা নেই। অার তোমার এত জ্ঞান না দিলেও চলবে। :-P :-P
ঈঁদের দিন সন্ধ্যার সময়, অামরা অামার বড় অান্টির বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। যেই অামার বড় অান্টি অামাদের কে,,  রুটি অার গরুর মাসং অামাদের খেতে দিলো তখনই অামার ফোনটা বেজে উঠল! দেখি সুইটি কল দিয়েছে,
-হ্যালো,,, তুমি কোথায় অাছো.? অামি এখন ফ্রি অাছি। বাসায় অনেক মেহমান অাছে সাবাই ব্যাস্ত! তাই অামি একটু সময়ের জন্য বাসার গেটের সামনে বেড় হয়েছি। তুমি তাড়াতাড়ি অাসো যদি দেখা করতে চাও। হাতে টাইম ১০ মিনিট।

অামার খাওয়া দাওয়া অার মুখে যাচ্ছে না।   অামি, Naim Al Hasan , এবং  Mostafa Kamal , ও Salam Khan  কে বললাম।
তারাতারি যেতে হবে হাতে মাত্র ১০ মিনিট টাইম অাছে।
সবাই কোনরকম খেল অার অামি তো খেতেই পারলাম না।
তারাতারি করে দুটি বাইক নিয়ে চলে গেলাম ওর কাছে। [অামি ওর বাড়ি চিনি বিধায়, যেতে কোন সমস্যা হলনা।]
অবশেষে  অামরা দেখা করলাম। ওর সাথে ওর ছোট বোন অারজুও ছিল।
ওর হাতে ছিল একটি অাইসক্রিম। ও বলল, অাইসক্রিম খাবে.?
অামি তো লজ্জায় একাকার। কি করব?
অামার কেমন জানি লাগছিল।
তার পরে ও অামায় ওর অাইসক্রিম (এক সিমটি) খাইয়ে দিল।
অামিও ততক্ষৎ দোকানে গিয়ে কতোগুলা কাপ অাইসক্রিম (সাথে ওর ছোট বনের জন্য চকলেট বিস্কুট সেন্টারফ্রুট ইত্যাদি) কিনে ওকে দিলাম। ও বলল এত গুলা ও বাসায় নিতে পারবে না। সবাই সন্দেহ করবে।
তারপর অামিও একটি অাইসক্রিমের (একচিমটি) ওকে একটু করে খাইয়ে দিলাম।
এর পর অামি Naim Al Hasan  -এর বাসায় চলে অাসলাম।
সারা রাত অামাদের (এস.এম.এস)- এ অনেক কথা হলো, কিরকম দেখলাম পছন্দ হয়েছে  কিনা?  ইত্যাদি। ইত্যাদি।। (ঐ মিয়া এত কিছু অাপনাদের বলতে গেলে অাপনার ৫-১০ ঘণ্টা এখানেই চলে যাবে। তার পরেও যদি জানতে ইচ্ছা করে তাহলে ইনবক্স করিয়েন বলে দিব।) :-P :-P :-P :-D :-D
পরের দিন সকালের ঘটনা, ও ওর অান্টির বাড়ি বেড়াতে অাসছে। অামার ছোট অান্টির বাড়ি থেকে ওর অান্টির বাড়ি বেশি দূর নয়। যেতে ৫ মিনিটের মত লাগে।
অামার অাম্মু অাব্বু সবাই বাড়িতে অাসছে।  কিন্তু অামি অামার ছোট অান্টির বাড়িতেই থাকছি। কেননা, এখান থেকে সুইটির অান্টির বাসা অনেক কাছে।
অামরা একটু পরপর দেখা করি।
ও দেখতে অনেক সুন্দর এতটা সুন্দার মেয়ে মঠবাড়িয়া অার কেউ অাছে বলে অামার মনে হয় না। <3
নাঈমকে বললাম দেখতে কেমন?
ও বলল একদম অাকাশের পরি।।
মঠবাড়িয়া এত সুন্দর মেয়ে অাছে.?
অামি অাগে তো দেখিনি।
অামরা সুধুই দেখা করতাম।  কেউ কোন কথা বলতাম না। তাকিয়ে থাকতাম।
কথা বললে নাকি ওর ফ্যামিলি ওকে সন্দেহ করবে।
অামরা যতবারই দেখা করছি শুধুই তাকিয়ে থাকতাম। অার (এস.এম.এস)_ এ কথা বলতাম। তার পরের দিন অাবার
দেখা করতে যাই।  গিয়ে দেখি ওর খালাত ভাই "নাহিদ রুবেল " বাড়ি মোরলগঞ্জ " ও টুলের উপর বসে খেলছে,,,, অামি ওকে জিজ্ঞাস করলাম তোমার নাম কি?
ও বলল "নাহিদ রুবেল" অামি বললাম তুমি কিসে পড়.?
ও বলল ক্লাশ ফোর, (চতুর্থ শেণী।)
অামি জিজ্ঞাস করলাম তোমার অাপু কোথায়.?
ও বলল, কোন অাপু.?
অামি বললাম,  সুইটি (মুনা) অাপু.?
সে বলল এরকম তো অামার কোন অাপু নেই। তারপর দেখি সুইটি অাসতেছে, সুইটি কে দেখিয়ে অামি বললামঃ ওই যে অাপু ওর নাম কি তাহলে.?
ও বলল ওর নাম তো লাইজু,,,
অামি বললাম ও কিসে পরে.?
ও বলল সে তো কিছুতেই পরে না।
এরই মধ্যে সুইটি এসে গেছে,
অামি বললম,
-তোমার অসল নাম কি.?
-(মুনা)
-সত্যি করে বলো,,,,
-লাইজু
-তাহলে অামায় মিথ্যা কেন বলেছিলে.?
-(মুনা) এটাও অামার নাম।
(অামারা এই কথা গুলো ম্যাসেজ এর মাধ্যমে বলি।
অামাদের সরাসরি কখনো কথা হয়নি।)
[ও অমার কাজ থেকে একটু দুরে,,]
সুইটিঃ না,,, ইয়ে, মানি,
অামার অাসল নাম - মুক্তা,  অাক্তার সুইটি, মুনা ইসলাম লাইজু।
অামি বললামঃ 😡 😡 এত কাহিনি না করে অাসল নামটা বললেই তো পারতে,
অামি তো তোমার surname জানতে চেয়েছিলাম।
সুইটিঃ অামার অাসল নাম, " লাইজু"।
-আর তুমি না কি পড়ালেখা করো না.?
-কে বলল.?
-নাহিদ রুবেল বলছে।
-অাসলে ওরা কেউ চায়না যে অামি কারো সাথে প্রেমকরি এইজন্য মিথ্যা কথা বলছে।
-ছোটোরা কখনো মিথ্যা বলে নাকি.?
-বিশ্বাস করো,,,
-কেউ চায়না যে অামি কারো সাথে প্রেমকরি এইজন্য  ওরা মিথ্যা কথা বলছে।
অামি ওর কথাটাই মেনে নেই।
পরের দিন সকালে অামি চট্টগ্রাম চলে অাসি। (যখন বাসে ছিলাম; তখন লাইজু (এস.এম.এস দিয়ে) বলতেছে, তুমি অামার কাছে থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছ, অামার কথা কি তোমার মনে থাকবে.? অামায় কি তোমার মনে থাকবে?
অামিঃ অারে কি বলছো এইসব? অামি কেন তোমায় ভুলে যাব? এরকম অামাদের অনেক ম্যাসেজ হয়েছিল।)
অামি অাবার, মাদ্রাসায় চলে এলাম। অামি অাবার ক্লাশ করা শুরু করলাম।
অার,  ওর সাথে প্রতিদিন ফোনে কথা বলতাম।
লাইজুও প্রতিদিন ক্লাশে যেত অার ক্লাশ থেকে এসে অাবার অামায় ম্যাসেজ করতো।
এরকম চলতে থাকলো,,
অতঃপর অামাদের মধ্যে প্রেম হয়ে গেল।
অামরা অাগের চোয়ে অারো বেশী কথা বলা / ম্যাসেজিং করা শুরু করলাম।
অামার H.S.C (অালিম পরিক্ষার বাকি অাছে অার ১ মাস এর মত।)
অামার কিন্তু পড়ালেখা কিছুই হতো না।
সারাদিন সুধু SMS এবং কল করে লাইজুর সাথে কথা বলতাম।
ওকে অাবার একটি ফেসবুকও অাইডি খুলে দিলাম।
অামি মাঝেমাঝে ওর অাইডি চেক করে দেখতাম।  (activity তে গিয়ে দেখতাম।)
চটি পেজে লাইক দিছে। 😡 😡 😡 😡
নাজমুল নামের একটি ছেলের সাথে জানু জানু বলে কথা বলছে কিস্ করছে ফোন নাম্বার দিছে। 😡 😡😡 😡😡 😡
অামি কষ্টে মরে যাচ্ছিলাম।।।
অামি ভাবলাম,  এখন বললে ধরা খেয়ে যাব, ও বলবে তুমি অামার ফেসবুকে কেন ডুকছো.? [শর্ত ছিল ওর অাইডিতে অামি কখনোইে ডুকবো না।] তাই ব্যাপারটা সহ্য করে নিলাম। :'( :'( :'(
একদিন সকালে লাইজুর ফোনটা ওর হাত থেকে পরে ওর ফোনের ডিসপ্লে ভেঙ্গে যায়। :'( :'(
তার পর থেকে অামাদের অার অাগের মত কথা হয়না।
[ও মাঝেমাঝে অামায় বলতো অাচ্ছা,
অামি যদি কখনো তোমার জীবন থেকে হারিয়ে যাই তখন তুমি কি করবে.?
তখন অামি বলি সত্যিকার ভালবাসা কখনো অাবার হারায় নাকি.?]
ও মাঝে মাঝে ওর অাব্বুর ফোনে ওর সিম ডুকিয়ে অামার সাথে কথা বলত।
এমনকি ও ওর অাম্মুর অাব্বুর এবং ওর অান্টির ফোন দিয়েও অামার সাথে কথা বলতো।
একদিন ও অামায় ফোন দিয়ে বলে ওর নাকি অাজকে গাঁয়ে হলুদ এখনি ই ওর বিয়া হয়ে যাবে। :'( :'( :'( :'( :'( :'( :'(
অামি বললাম তুমি এটা অামায় অারো অাগে জানাতে পারতে, অামি খুব কষ্টে পেয়ে কাদছিলাম। অার লাইজুও অামার সাথে (ফোনে খুব) কাঁদছিল। :-/ :-/ :'( :'(
অার ওর স্বামী নাকি বিদেশ থাকে। বিদেশ থেকে ফোনে ফোনে ওদের নাকি বিয়া হয়। 😡 😡 কিন্তু ও ওর স্বামিকে কখনো দেখেনি। ছবিতে দেখছিলো। :'(
একসময় ও যে অামার সাথে কথা বলে এটা ওর অাব্বু দেখতে পায়,  এবং অামায় ফোন দেয়।
অামিঃ হ্যালো,,,,,
লাইজুর অাব্বুঃ-- দেখ!  তুমি রাজু অার রাকিবুল যেই হওনা কেন, তুমি ওর সাথে অার কথা বলোনা, ওর স্বামী জানতে পারলে ওকে অনেক মারধর করবে।
অামিঃ অাঙ্কেল ওর বিয়া হয়েছে কবে.?
লাইজুর অাব্বুঃ-- এই রোজার অাগের রোজায়। প্রায় এক বছর অাগে। :'(
-অার ও কিসে পড়ে.? :'( :'( :'( :'( :'(
লাইজুর অাব্বুঃ-- কে বলছে ও পড়ে.?
ও তো ক্লাশ ৮ম পর্যন্ত পড়েছিল।
তারপর ওকে বিয়া করাইয়া দিসি।
ওর স্বামী বিয়ের ২ মাস পর বিদাশ চইলা গেছে।
বাজান, তুমি এহন ওরে অার ফোন দিওনা,  ওর সংসারে কেউর লাগাইও না।
-ওকে অাঙ্কেল ভাল থাকেন Bye! 😡 😡
অামি লাইজুর কে ফোন দিলাম, ওর অান্টির নাম্বারে,,,,
- হ্যালো,,,
-লাইজুর অান্টিঃ কে বলছেন.?
-লাইজু কই.?  😡 😡 😡😭 😭 😭 😭
-লাইজুর অান্টিঃ ও একটু ব্যস্ত অাছে।
-ওর বিয়া হয়েছে কবে.? 😭😭😭
 -লাইজুর অান্টিঃ  এই রোজার অাগের রোজায় প্রায় এক বছর অাগে। কিন্তু কেন? 😖😖😖😖
অারও লাইজুর সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ওর অান্টির থেকে অনেক জানলাম। ও অনেক যাগায় ফোনে কথা বলে,  প্রেম করে ইত্যাদি।।
ছি, ছি, অামি এরকম একটা মেয়ের সাথে,, 😡 😡 😡 😡 😡 😡
হে! অাল্লাহ্ প্লিজ তুমি অামায় মাফ করে দাও। :'( :'(
তার মানে রুবেল নাহিদ যা বলছিল তাই সত্যি.? :'( :'( :'( :'(
অামার খুবই কষ্ট হচ্ছিল সারাদিন কেঁদেছিলাম। 😭😭😭😭😭😭
অামার H.S.C (অালিম পরিক্ষার বাকি অার মাত্র ১০ দিন) 😖😖😖😖 😖😖😖😖 :'(
মাথায় অাকাশ ভেঙ্গে পড়লো,,, :'( :'(
ও অামায় ফোন দিল.... 😡 😡 😡 😡
-অামিঃ হ্যালো,,, 😡 😡
-কি কর জানু? জানু, সকালে কিছু খেয়েছো.?
অামিঃ (অনেক ধৈর্য ধরে) হুম। তুমি কি করো.?
লাইজুঃ -জানো জানু, এখন বাসায় কেউ নেই। সুয়ে সুয়ে গান শুনতেছি, এখন যদি তোমায় কাছে পেতাম কি মজটাই না হতো।
অামিঃ 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡 😡
-লাইজুঃ জানু,তোমার খালাত ভাইকে (নাঈম) কে বলো, সে যেন অামায় একটি সিম কিনে অামার বাসায় দিয়ে যায়।
অামিঃ 😡 😡 😡 😡
তুমি এত নিচ হতে পারলা.?
তুমি বিয়ের অাগে কিভাবে অামাকে ফিজিক্যালি রিলেশন করতে বলেছিলে?
অন্য মেয়রা "ফিজিক্যালি রিলেশন" করতে বাধাঁ দেয় অার তুমি বলছো.? 😡
তোমার স্বামী বিদেশে, ৬ মাস তার অাদর সোহাগ, পাওনি তোমার ছেলে দরকার সেটা অামায় বললেই হতো, এত নাটকের কি অাছে.? অামি কিছু ছেলে তোমার বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম। তুমি এত খারাব ছি!!!! অামি অাগে জানলে তোমার সাথে বন্ধুত্ব তো দুরের কথা কথাই বলতাম না।
-এসব তুমি কি বললা?
কে বলল অামি ৬মাস অাগে বিয়া করছি.?
তুমি অামার ফ্যামিলির কথা বিশ্বাস করছো? অামি তোমার কেউ না.?
-অামিঃ অামার সাথে কো ব্যেশার কথা নেই।
তার পরে অামি ওর সাথে অার কথা বলিনি।
অামার খুব কষ্ট হচ্ছিল, বুকটা ব্যাথা করে,
ভাত পানি কিছুই খেতে পারিনা। সারাদিন কাদিতাম, একটা ছেলে একটা মেয়ের জন্য অামি এত কাদছি কেন.? কি অার করবো? কান্না যে রাখতে পারছি না।
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
অামি কি ওকে ছ্যাকা দিলাম?
নাকি ও অামাকে ছ্যাকা দিল.?
চিন্তা, করলাম সত্যকথা গুলা বের করা দরকার। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে
না থাকতে পেরে দুদিন পর, অাবার ওক ফোন দেই। ওর হাত পা ধরে ওকে সব সত্য কথা বলতে বলি।
-দেখ তুমি যদি সত্যি সবকিছুই বলো তাহলে অামি জেনেসুনে তোমায় ভাল বাসবো। অনেক হাত পা ধরে, কান্নাকাটি করে অনেক মিনতি করে, ভিক্ষুকের মত সব জানতে চাইলাম। 😫 😫 😫
তখন ও বলল,,,,,
হ্যাঁ অামার অনেক অাগে বিয়া হয়েছিল।
অামি সবার সাথে টাইমপাস করি, নাজমুল নামে ফেসবুকে একটি ছেলের সাথেও প্রেম করি, [FB-তে,নাজমুলের কাজ থেকে অামি ওদের প্রেমের কাহিনি শুনে নিয়েছিলম)
অামি তোমার সাথেও প্রেমের অভিনয় করছি।
অামাকে কোন একটি ছেলে কষ্ট দিয়েছিল, তার প্রতিশোধ প্রত্যেকটি ছেলে থেকে এরকম অামি নিব।
তোমাকে ছ্যাকা দেওয়া শেষ হলে কালকে নতুন অার একজন কে ধরবো।
প্রয়োজনে দেহ দিয়ে হলেও প্রেম করে ছ্যাকা দিব।
তুমি কিরকম মেয়ে.? :'( :'(
অামি শেষ। অামার মুখ থেকে কোন কথা বের হয়না। অামার জীবনের প্রথম অামি এমন কাদাঁ অার কখনোই কাদিনি। :'(
মেয়েরা এমন হতে পারে অামার কল্পনার বাহিরে ছিল। (সবাই একট নয়) অমি যেন, পাথর হয়ে গেছি।
অামার পরিক্ষা অতি নিকটে,  কষ্ট নিয়ে পরিক্ষা দিলাম। বুঝিনি কখনো পাশ করবো। :-/ :-/ :-/ :-/ :-/ :-/ :-/
তারপরেও জি.পি.এ ৩.৭১ পেয়ে পাশ করেছি।
তার পরে লাইজুকে কল করে বললাম, অামার রেজাল্টের জন্য তুমি দায়ী,
সে অামাকে অনেক সরি,  বলেছিল, তাতে অামার কি লাভ?
অামি তো অার নাম্বার বেশি পাবনা। ২-৪
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষা দিলাম। ২০১৬ কিন্তু
চান্স হলো না।। [বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ মাের্কের জন্য হলো না। :'(  ]
অারে হবে কিভাবে.?
সারাদিনটাই যেরকম কেঁদেছি,  পরিনি তা কি করে হবে। অাব্বু অাম্মু সবাই বকাবকি করছে, অার বকাবকি করারই তো কথা,
এত ভালো ছেলে এত কম নাম্বার পাবো, বিশ্ববিদ্যাল  চান্স পাবনা। এটা তারা অামার কাজ থেকে অাশা করেনি। :'(
অামিও খুব কষ্ট পেয়েছি।
একা একা সারাক্ষণ ভাবি কি হলো এটা অামার জীবনে.?
অামি কে প্রেম করতে গেলাম??
অামিও নিজে নিজে বকাবকি করতেছি, অার সারাদিন কাঁদি।
এখন অার অামার অার কষ্ট হয়না,
নিজেকে সুধরে নিয়েছি।
অার কখনো ভুল প্রেমে পা দিবনা।

""
কারো অবহেলিত ভালোবাসার চাইতে, ♥
জীবনে একা থাকা অনেক ভালো। :/ :-(
না অাছে কাউকে হারানোর ভয়.. �
অার না অাছে কাউকে ফিরে পাবার "অাশা"। :-) :-/

""

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ডবার ট্রাই করবো। [সবাই অামার জন্য দোয়া করবেন।]

অামি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি, অার কখনো কোন মেয়ের সাথে অামি প্রমে জরাবো না। অামার সুন্দার চেহারা শুধু অামার ভবিষ্যৎ বউ এর জন্য রেখে দিব।
গুগলে দেখলাম "লাইজু" মিথুন রাশি, অার অাপনারা হয়তো জানেন মিথুন রাশির ছেলে মেয়েরা কতটা খারাব কতটা নিচ হতে পারে।
যদি,  না জানেন তাহলে মিথুনরাশি লিখে গুগলে সার্চ দিয়েন। ভবিষ্যতে যদি কখনো বিয়া করে তাহলে এই মিথুনরাশি থেকে ১,০০০ হাত দূরে থাকব।
অামার জন্য পাররফেক্ট রাশির মেয়ে,  কন্যা,  বৃষ সাথে।

অামি এখন সবসমই পড়া লেখা করি অার বিকেলে [অাছরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত] অফ টাইমে অাপনাদের জন্য গল্প লেখা-লিখি।। করি
 ভাল লাগলে শেয়ার করবেন।

[অামার লেখা অারো গল্প পেতে রিকুয়েশ্ট পাঠিয়ে অামার সাথেই থাকুন]
ধন্যবাদ!!

কাহিনিঃ Rakibul Alom
লেখাঃ / রাইটারঃ Rakibul Alom

Subscribe to this Blog via Email :
Previous
Next Post »